বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায় শুক্রবার দিনের বেলা প্রকাশ্যে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মিস্টার (৩৮) খুন হয়েছেন। মসজিদের গেটের সামনে তাকে কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে পুলিশসহ স্থানীয়রা জানিয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, নিহত মিস্টারের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলাসহ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ১১টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিস্টার
\হশাকপালা বাসস্ট্যান্ড মসজিদের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারী দুর্বৃত্তরা তাকে কুড়াল দিয়ে উপর্যুপরি কোপায়। কোপানোর পর তারা ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সেতা মিস্টার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন। তিনি শাকপালা এলাকার আরমান হোসেনের ছেলে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে পরিকল্পিত এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কুড়াল পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। কিলিং মিশনে প্রকাশ্যে ৩ জন থাকলেও মোটর সাইকেলে আরও একটি গ্রম্নপ ছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে। হত্যাকারীরা দ্রম্নত মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। তবে মোট কতজন এই হত্যাকান্ডে অংশ নেয় তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। একটি সূত্র জানিয়েছে, এলাকায় অধিপত্য ও পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ অবিলম্বে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে।
