ওয়ারীতে ৪ জুলাই থেকে 'লকডাউন'

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর ওয়ারীর কয়েকটি এলাকাকে শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্বিক নির্দেশনায় এ লকডাউন বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মঙ্গলবার লকডাউন কার্যকরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, সোমবার আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে লকডাউন কার্যকরে চিঠি পেয়েছি। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও এ চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পরপরই আমরা আমাদের কাজ শুরু করি, প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। লকডাউন হওয়া স্থানগুলো হচ্ছে ওয়ারীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, র?্যাঙ্কিন স্ট্রিট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন), জাহাঙ্গীর রোড, নওয়াব রোড, হরে রোড এবং ওয়ারী রোড। তিনি আরও বলেন, সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমাদের সব উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ই-ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লকডাউন এলাকায় আমরা সীমিত যাতায়াতের জন্য দু'টি রোড চালু রাখব। আর সব সড়ক বন্ধ থাকবে। ওষুধ ও জরুরি জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। দৈনন্দিন দ্রব্যের জন্য ই-ক্যাবের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবস্থা থাকবে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আগামী তিনদিনে আরও নেওয়া হবে। এ সময়ে স্থানীয়রাও তাদের মতো কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। তবে চলাচলের জন্য কোন দু'টি সড়ক খোলা থাকবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি। লকডাউন সময়ে ডিএসসিসির মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা হবে বলেও জানান মেয়র। রাজাবাজারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়ারীর লকডাউন সফল করতেও আশাবাদী বলে জানান তাপস। অত্র এলাকায় বর্তমানে ৪৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।