করোনাভাইরাস

একদিনে রেকর্ড ৬৪ মৃত্যু

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩৬৮২ জন

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০, ১৫:১৯

যাযাদি রিপোর্ট

বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এই প্রথম একদিনে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃতু্যর খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একদিনে ৬৪ জনের মৃতু্যর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১ হাজার ৮৪৭ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ১ হাজার ৮৪৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৬২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃতু্যর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ২২ জুন। এর আগে ১৬ জুন একদিনে মোট ৫৩ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে- এতদিন সেটাই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্য। আর সোমবারের বুলেটিনে একদিনে ৪ হাজার ১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। ৫১ জন হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ১১ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ২১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। এই ৬৪ জনের মধ্যে ৩১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বসিন্দা ছিলেন। বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৬৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৭টি নমুনা। নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।