করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হচ্ছে: গবেষণা

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রাথমিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) যে আকার বা চরিত্র ছিল, তার পরিবর্তন ঘটছে। ফ্লোরিডার গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হচ্ছে করোনাভাইরাস। গবেষকদের মতে, চীনে যখন প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন যে পরিমাণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এখন অনেক দ্রম্নত ছড়াচ্ছে এ ভাইরাস। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস আরও শক্তিশালী হচ্ছে। দ্রম্নত মানবশরীরে প্রবেশের ক্ষমতা ধারণ করেছে। ফলে সংক্রমণও বাড়ছে। এই ভাইরাস নিজের সারফেস প্রোটিন বদলাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে বদলে যাচ্ছে করোনা চরিত্র। যে মানব কোষে আগে করোনা জায়গা করতে পারত না, এখন সারফেস প্রোটিন বদলানোর ফলে সেখানেও হামলা চালাতে পারছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। চিকিৎসকরা বলেন, রোগীর মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ না পাওয়া গেলেও হঠাৎই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তার। চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃতু্য হচ্ছে রোগীর। মেডিকেল রিপোর্টের তথ্যমতে, যদি কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ২০০ জন করোনা আক্রান্ত হন, তবে তারও এভাবে মৃতু্য ৫ হতে পারে। মেডিকেলের পরিভাষায় এ ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে সুপার স্প্রেডার। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরি জেলার পেডাপুডি ও সংলগ্ন এলাকায় এ রকম এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় সম্প্রতি। যার নিজের কোনো করোনার লক্ষণ ছিল না। অথচ তিনি সুপার স্প্রেডার ছিলেন। স্থানীয় কাঁকিনাড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আধাঘণ্টার মধ্যে তার মৃতু্য হয়। গবেষকরা বলেন, এ ধরনের অ্যাসিম্পোট্যোম্যাটিক রোগী প্রাথমিকভাবে সুস্থ বলেই মনে করা হয়;। কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের ভেতরে বিভিন্ন অংশের ক্ষতিসাধন করে চলে। আচমকাই এদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চিকিৎসার বিন্দুমাত্র সুযোগও এ ধরনের রোগীরা দেন না। ফলে তারা মারা যান। গবেষকরা করোনার এ চরিত্র বদলকে বলছেন উ৬১৪এ। বিশ্বজুড়ে মৃতু্যর হার কমলেও ভয়াবহতা একই থাকছে করোনাভাইরাসের। আপাতত গবেষকরা এ নতুন উ৬১৪এ-এর চরিত্র রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একাধিক নমুনাও এজন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট