পাটকল বন্ধ করা চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ: সাকি

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন গণসংহতি নেতা জোনায়েদ সাকি -যাযাদি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই করোনাকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা এবং লক্ষাধিক মানুষকে নতুন করে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দেওয়া এই সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, 'একদিকে ৮/১০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছে। প্রায় ৩ কোটি লোক নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। তখন পাটকল শ্রমিক ও ওই অঞ্চলের মানুষদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।' বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল, পাট খাতের অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপন করে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো চালু করার দাবিতে এ সমাবেশ করে গণসংহতি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মতোই আচরণ করছে বলে উলেস্নখ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল আধুনিকায়ন করার জন্য প্রয়োজন ১২শ' কোটি টাকা। সেই টাকা না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে আদমজি জুটমিলে। আধুনিকায়নের জন্য তখন দরকার ছিল ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু তৎকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ১৩শ' কোটি টাকা খরচ করেছিল কারখানা বন্ধ করার জন্য।' লোকসানের প্রধান কারণ দুর্নীতি। কারখানাগুলো আধুনিকায়ন না করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি না হওয়া বলে সমাবেশে জানান সাকি। তিনি বলেন, 'এসব সমাধান না করে কারখানা বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।' সাকির প্রশ্ন, সরকার কি আমলাতন্ত্রের দুর্নীতি বন্ধ করতে পেরেছে? প্রতিটি নিয়োগে, প্রতিটি বদলিতে, প্রতিটি পদোন্নতিতে যে দুর্নীতি হয়, তা কি বন্ধ করতে পেরেছে? তিনি বলেন, 'তাহলে তো সরকারকেই বন্ধ করে দিতে হয়। সুতরাং, দুর্নীতির দোহাই দিয়ে সব দায় শ্রমিকের ওপর চাপানো চলবে না।'