বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩২৮৮, মৃত্যু ২৯

দেশে করোনায় মৃত্যু প্রায় ২ হাজার

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০৫ জুলাই ২০২০, ১০:২৩

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৮৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের মৃতু্য হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক হাজার ৯৯৭ জন। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২২৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃতু্য হয়েছে এক হাজার ৯৯৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৭ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ হাজার ৭২১ জনে। শুক্রবারের পরিস্থিতি: শুক্রবারের (৩ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৪২ জনের মৃতু্য হয়েছে। ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১১৪ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতু্য কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ ?জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃতু্যর হার: শনিবারের (৪ জুলাই) বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মনের ওপর চাপ তৈরি করায় অনেকের নিয়মিত ঘুম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ?দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন। নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে