অবরুদ্ধ হলো ওয়ারীর 'রেড জোন'

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের বিস্তারে 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত পুরান ঢাকার ওয়ারী শনিবার থেকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যা টানা ২১ দিন চলবে -যাযাদি
করোনাভাইরাসের বিস্তারে 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত পুরান ?ঢাকার ওয়ারী অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যা টানা ২১ দিন চলবে। শনিবার ভোর ৬টায় 'লকডাউন' বাস্তবায়ন শুরু হয় ওয়ারীর নির্দিষ্ট এলাকায়। ২১টি রাস্তার মুখে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দুটি প্রবেশপথ খোলা রাখা হয়েছে, যেখানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ছাউনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত টিপু সুলতান রোড, লারমিনি স্ট্রিট, জাহাঙ্গীর রোড, ওয়্যার স্ট্রিট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, হেয়ার স্ট্রিট, জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন,র্ যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট এলাকায় ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এসব এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান-পাট, বিপণিবিতান, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। লকডাউন এলাকায় ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে কয়েক দফা সেনা সদস্যের টহল টিমও এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে। পুলিশের পেট্রোল কারও কিছুক্ষণ পর পর এলাকায় টহল দিচ্ছে। ডিএমপির ওয়ারী অঞ্চলের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, 'লকডাউন চলাকালে মানুষজন যাতে ঘরে থাকেন, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হন, সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল টিম, মোবাইল টিম ও পেট্রোল টিম কাজ করছে। চেকপোস্ট আমরা বসিয়েছি, পুরো এলাকায় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও কাজ করছে। ঢাকা জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করেই পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।' ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারওয়ার হোসেন আলো বলেন, 'আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই লকডাউন শুরু করেছি। এলাকাবাসীকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। সর্বক্ষণ মাইকিং করা হচ্ছে। যাদের ঘরে খাবার নেই, তাদের খাবারও পৌঁছে দেওয়া হবে। আর যারা টাকা দেবেন তাদের বাজার করে পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনকি চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। আর কেউ মারা গেলে দাফনেরও ব্যবস্থা আছে।' ৪১ নং ওয়ার্ড কমিশনার জানান, তার এই এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করেন। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই লকডাউন বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরাও কাজ করছেন। বলধা গার্ডেনের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশের একটি 'কন্ট্রোল রুম' স্থাপন করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পূর্ব রাজাবাজারে ২১ দিনের 'লকডাউন'র পর এটি দ্বিতীয় লকডাউন কার্যকর হলো।