ষাঁড়টির নাম 'চিতা' দাম ১০ লাখ টাকা

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
'চিতাবাঘ' নাম দেওয়া হলেও এটি একটি তেজোদীপ্ত ষাঁড়। গায়ের রঙের সাথে মিলিয়ে ষাঁড়টির মালিক নাম রেখেছেন চিতাবাঘ। খুলনার তেরখাদার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাতের শখের গরু এটি -যাযাদি
'চিতাবাঘ' নাম হলেও, তা কিন্তু বাঘ নয়, এটি একটি তেজোদীপ্ত ষাঁড়ের নাম। গায়ের রঙের কারণে ষাঁড়টির মালিক নাম রেখেছেন চিতাবাঘ। চার বছর আগে জন্ম নেওয়া ষাঁড়টির আকৃতি এখন বিশাল। খুলনার তেরখাদার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাতের শখের গরু এটি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার বাজারে তুলতে চাচ্ছেন চিতাবাঘকে। ক্রেতা ও ব্যাপারিদের কাছে তিনি গরুর দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। কায়নাত বলেন, ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ হাত, প্রস্থ সাড়ে ৩ হাতের বেশি। ওজন ৪০ মণ। কালো আর সাদা রঙের ষাঁড়টি ক্রস জাতের। দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় কসাইরা বলেছে, গরুটির মাংস হতে পারে ১৮ মণ। চিতা বাঘকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। সবাই একনজর দেখতে চায় বিশাল আকৃতির গরুটিকে। রাস্তায় বা বাড়ির পাশে গোসল করাতে নিয়ে গেলে অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ গরুর সঙ্গে সেলফি তোলেন ও ভিডিও করেন।' তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি চিতাবাঘকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওর আকৃতি বেড়েছে। চেহারা ও স্বভাবে সে এখন সত্যিই চিতাবাঘ। এলাকার কোনো গরু তার সঙ্গে যুদ্ধে পারে না। গরুর মালিক কায়নাত বলেন, এবার গরুর জন্য খড় সংকট ছিল। কষ্ট করে ৪ বছর ধরে গরুটি লালনপালন করে করোনার কারণে এবার দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কায়নাতের ছেলে এস এম বায়েজিদ হোসেন বলেন, 'চিতাবাঘ' প্রতিদিন খড়, ভুসি ও ঘাস খায়। চিতাবাঘ আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে বড় হয়েছে। গরুর মালিক কায়নাত জানান, শখের বশে তিনি দীর্ঘদিন গরু পালন করেন। চিতাবাঘ ছাড়াও তার আরও কয়েকটি গরু রয়েছে।