সাংসদ পাপুলের বিষয়ে 'ধৈর্য' ধরতে বলল সিআইডি

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেপ্তার সংসদ সদস্য মো. শহিদ ইসলাম পাপুলের ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে নারাজ সংস্থাটি। সোমবার সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান সিআইডির সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সিআইডির সামগ্রিক কর্মকান্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন থাকলেও এর বড় অংশজুড়েই ছিল মানবপাচার প্রসঙ্গ। কুয়েতে মানবপাচারের দায়ে গ্রেপ্তার সংসদ সদস্য মো. শহিদ ইসলামের বিষয়ে কুয়েতে তদন্ত চলছে। সিআইডি কিছু করছে কি না? যে অভিযোগ কুয়েত সরকার তুলেছে, তা ভিত্তিহীন কি না? জানতে চাইলে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'উইথ এভিডেন্স (সাক্ষ্য-প্রমাণসহ) আমরা বলব, হ্যাভ পেশেন্স (ধৈর্য ধরুন)।' লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনজন মূল হোতাকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। তাদের ধন-সম্পদেরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিগগির তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। তবে সিআইডি তাদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চায়নি তদন্তের স্বার্থে। মাহবুবুর রহমান জানান, সিআইডির তদন্তকে আরও গতিশীল করার কাজ চলছে। আগে ৬০ বা ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৌখিক স্বীকারোক্তির ওপর সিআইডি নির্ভর করত, এখন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ফরেনসিক সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করার চেষ্টা চলছে। সিআইডির প্রধান বলেন, বিভাগটি ২২ ধরনের মামলা করে থাকে। ৮২ ভাগ ক্ষেত্রে তারা অভিযোগপত্র দিয়েছে, তবে সাজা হয়েছে ২৪ ভাগ ক্ষেত্রে। প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর রহমান বলেন, কেন শাস্তির হার কম, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। বিচারক ও আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত কমিটি মাসখানেকের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। মাহবুবুর রহমান জানান, সিআইডি সাইবার থানা স্থাপন করবে। ঢাকায় থানাটি স্থাপন করা হলেও সারাদেশ থেকে অনলাইনে এই থানায় অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাবেন ভুক্তভোগীরা।