বাংলাদেশিসহ ১১ লাখ ছাত্রকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাস আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিগুলোতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ৭ হাজার ৮০০ ছাত্রছাত্রীসহ বিশ্বের ১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এ নির্দেশ জারি করেছে। আইসিই জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী গ্রেপ্তারের পর সবাইকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উলেস্নখ্য, করোনার কারণে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ক্লাস অনলাইনে করা হবে। তাই সশরীরে ক্লাসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আইসিইর এ পদক্ষেপের ভিকটিম হবেন নিয়মিত ছাত্রছাত্রীসহ যারা স্বল্পমেয়াদি ট্রেনিং কোর্স (নন-একাডেমিক অথবা ভোকেশনাল) নিতে এসেছেন তারাও। আসছে সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের সব ইউনিভার্সিটি। চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মিলিত হয়েছেন। করোনার প্রকোপ অব্যাহত থাকলে ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক হবে না বলেও মিটিংয়ে অভিমত পোষণ করেছেন অনেকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নির্দেশ অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ আট জনকে বসার ব্যবস্থা করা যাবে। অবশিষ্ট ২২ থেকে ২৩ জন কীভাবে ক্লাস করবেন- এমন প্রসঙ্গও উঠেছে ওইসব নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার তান্ডব শুরুর পর থেকেই সবকিছু লকডাউনে গেছে। জুন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস নেওয়া হয় অনলাইনে। এমনকি যারা ক্যাম্পাসে অর্থাৎ ডর্মে (আবাসিক হোটেল) ছিলেন তারাও ক্লাস করেন অনলাইনে। সেপ্টেম্বরে শুরুতে নতুন শিক্ষাবর্ষেও ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে কেউই মনে করছেন না। কারণ গত কয়েক সপ্তাহে ৫০ স্টেটের মধ্যে অন্তত ৩৬টিতেই উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বেড়েছে। যেসব সিটি অথবা কাউন্টিতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল সেসবে আবার সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ধরনের অস্থিরতা জনজীবনকে গ্রাস করতে চলেছে।