ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটির পরামর্শ

ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরুন

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে সচেতনতামূলক পোস্টারের সামনে মাস্ক পরিহিত এক তরুণী -ছবি সংগৃহীত
করোনাভাইরাস ঠেকাতে হলে ঘরের বাইরে সবারই উচিত ফেসমাস্ক পরা, বলছে ব্রিটেনের জাতীয় বিজ্ঞানবিষয়ক একাডেমি। রয়াল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ভেঙ্কি রামাকৃষ্ণান বলেন, জনবহুল প্রকাশ্য স্থানে যখনই কেউ যাবেন তখনই তার মাস্ক পরা উচিত। তার কথায় এতে যিনি মাস্ক পরছেন তিনিও নিরাপদ থাকবেন এবং তার কাছাকাছি যারা আছেন তারাও সুরক্ষা পাবেন, এবং এর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ আছে। একাডেমি বলছে, মাস্ক পরতে না চাওয়াকে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর মতোই খারাপ চোখে দেখা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সময় বলেছিল যে, মাস্ক পরার পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। কিন্তু জুন মাসে তারা তাদের পরামর্শে পরিবর্তন এনে বলে- যেখানে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সম্ভব নয় সেরকম প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা উচিত। বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, কথা বলা, বা হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ দিয়ে যে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণা বেরিয়ে আসে তার মাধ্যমেই করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল এডেলস্টাইন- যিনি মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট লিখেছেন, মাস্ক যে অন্য লোকদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে 'তা সবসময়ই স্পষ্ট ছিল'। যেসব লোক ভাইরাস বহন করছেন কিন্তু দেহে কোনো উপসর্গ নেই, তারা তাদের অজান্তেই নাক-মুখ দিয়ে ড্রপলেট ছড়াচ্ছেন। তাদের মুখ ঢাকা থাকলে এসব ক্ষুদ্র পানির বিন্দুর বেশিরভাগই মাস্কে আটকা পড়বে, অন্য কাউকে সংক্রমিত করার আগেই। অন্যদিকে, যিনি মাস্ক পরে আছেন তাকেও যে এটা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে, তার 'কিছু প্রমাণ' আছে- বলেন অধ্যাপক এডেলস্টাইন। সিংগাপুরের বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আগের ২৪-৪৮ ঘণ্টা সময়কালে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি থাকে। বিবিসি বাংলা