বুড়িগঙ্গায় 'মর্নিং বার্ড' লঞ্চডুবির ঘটনার মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম আসামি মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৭ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান অপর একটি আদালত। আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তাই এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে সোয়াদই প্রথম গ্রেপ্তার হন।
এর আগে গত ২৯ জুন সকালে শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিং বার্ড মুহূর্তেই ডুবে যায়। এতে ৩৪ জনের মৃতু্য হয়। এরপর এ ঘটনায় গত ৩০ জুন দন্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম।
মামলার আসামিরা হলেন, ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোলস্না ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।
এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ডকে মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।
