চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হচ্ছে দুদক

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, করোনার কারণে কমিশনের নিয়মিত অভিযান স্থগিত রাখা হলেও ত্রাণ এবং স্বাস্থ্যখাতে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে। জনগণের কল্যাণেই এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। শুক্রবার দুদকের এক বছরমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ কমিশনের এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা বলেন তিনি। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ১৮ জনের বেশি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। দুইজন প্রতিশ্রম্নতিশীল কর্মকর্তা মারা গেছেন। এর মধ্যেও আপনারা মামলা করছেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের তলব এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অর্থাৎ দুর্নীতির অভিযাগের অনুসন্ধান, তদন্ত, প্রসিকিউশন, প্রতিরোধসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটা আপনাদের কৃতিত্ব। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে বাসায় বসে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নথির মুভমেন্ট রেজিস্টার অনুসরণ করতে হবে এবং তা কমিশন সচিবকে অবহিত করতে হবে। কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৯ সালে কমিশন ১১টি মানিলন্ডারিং মামলার ১১টিতেই অপরাধীদের সাজা হয়েছে। ২০১৮ সালেও শতভাগ মামলায় সাজা হয়েছিল। এককভাবে যখন দুদক মানিলন্ডারিং মামলা করত তখন অসংখ্য মামলা দায়ের হয়েছে। অসংখ্য অপরাধীর শাস্তি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থপাচার বন্ধে দ্রম্নত সময়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে অপরাধলব্ধ সম্পদ উদ্ধার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএফআইইউ, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থার মধ্যে নিবিড় সমন্বয় থাকতে হবে। কীভাবে এসব সংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় করা যায়, তা কমিশনের কৌশলপত্রের আলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ভার্চুয়াল সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন ফোকাল পয়েন্টের কর্মকর্তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এসব কর্মকর্তা স্ব-স্ব বিভাগের একটি দুর্নীতির খবরও কমিশনকে জানায়নি। তাদেরও জবাবদিহি দরকার। সৎ, স্বচ্ছ ও দৃঢ়চেতা কর্মকর্তাদের ফোকাল পয়েন্টে নিয়োগের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালসহ জাতীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি দুদকের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। কারণ আমাদের কাছে প্রায়ই অভিযোগ আসছে-এসব প্রতিষ্ঠান কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সরকারি পরিষেবা প্রদান করছে না। প্রয়োজনে করোনা শুরুর আগে যেভাবে অভিযান পরিচালনা করা হতো, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেভাবেই অভিযান শুরু করা হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্‌ত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, মো. মফিজুর রহমান ভূঞা, মো. জহির রায়হান, মো. রেজানুর রহমান, সাঈদ মাহবুব খান, মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করে দুদকে আইসিটি ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল।