চারজনের নমুনা পরীক্ষায় একজন করোনা শনাক্ত

২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনের মৃতু্য, শনাক্ত ২,৬৮৬

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ২,৬৮৬ জন আর মৃতু্য হয়েছে ৩০ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৩০৫ জনের মৃতু্য হলো। দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের পর সাড়ে তিন মাসে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলো এক লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জন। দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এই সময়ের মধ্যে যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ২৪ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজনের নমুনা পরীক্ষায় একজন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬২৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ হাজার ৩৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চলিস্নশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সি একজন ছিলেন। এদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। শুক্রবারের পরিস্থিতি : শুক্রবারের (১০ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৩৭ জন। ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯৪৯ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত ও মৃতু্য- উভয়ই কমেছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃতের হার :গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে ৭৭টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যারা অসংক্রামক ব্যাধিতে ভুগছেন, তারা বেশি সতর্ক থাকবেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সক্রিয় থাকুন, মন ভালো রাখুন।