ঈদের ছুটি কতদিন?

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার ঈদুল আজহার ছুটি কি তিন দিনই থাকবে, নাকি ছুটি আরও বাড়ানো হবে-সেই প্রশ্ন অনেকেরই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন ছুটি ছিল। সীমিত পরিসরের কারণে এখনো প্রশাসনে অনেকটাই ছুটির আমেজ যাচ্ছে। এর মধ্যে ঈদের সময় আর বাড়তি ছুটির চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা অনুযায়ী এবার আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। আগামী ১ আগস্ট (শনিবার) ঈদুল আজহা ধরে সরকারের ২০২০ সালের ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৩১ জুলাই, ১ ও ২ আগস্ট (শুক্র, শনি ও রোববার) ঈদুল আজহার ছুটি থাকবে। এক্ষেত্রে দু'দিনই চলে যাচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ঈদ হলে ছুটি থাকবে ৩০ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্ট (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি)। এক্ষেত্রেও ছুটির দুদিন চলে যাচ্ছে সপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর এই দুই ঈদের আগের ও পরের দিন থাকে নির্বাহী আদেশে ছুটি। ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. লাইসুর রহমান বলেন, 'পুরো বছরের ছুটি যখন ঘোষণা করা হয়, ঈদের ছুটিও এর মধ্যে থাকে। ঈদুল আজহার ছুটি যেভাবে ঘোষণা করা আছে, সেভাবেই থাকবে।' তিনি বলেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে যারা অসুস্থ, সন্তানসম্ভবা নারী, তাদের বিষয়ে তো আমরা নির্দেশনা দিচ্ছিই, তারা অফিস করছেন না। সীমিত পরিসরে অফিস চলছে এখন।' অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, 'ঈদের ছুটি নিয়ে এবার বিশেষ কোনো চিন্তাভাবনা নেই। সরকার তো ছুটি আরও কমাতে চায়। কারণ ঈদের সময় বাড়ি যেতে নিরুৎসাহিত করছে। কারণ মানুষের চলাচল যত কমানো যায় করোনা তত নিয়ন্ত্রণে থাকবে।' গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেওয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহণ, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। পরে এই ব্যবস্থা দুই দফায় ৩ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। সরকারি অফিসে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকতে পারবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেভাবেই এখন অফিস চলছে।