সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঈদুল আজহার আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা সামনে রেখে পুলিশ,র্ যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। ঈদের আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকে, ঈদ সামনে রেখে আবারও সতর্কবার্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা যেটা শুনেছেন, মাঝেমধ্যে আমাদের গোয়েন্দারা জানাচ্ছে। সেজন্য আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী যা যা পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলো তারা করছে। পুলিশ,র্ যাব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সব সময় তারা (জঙ্গি) চিন্তা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারা হামলা করবে, সেখানেও আমাদের নজর রয়েছে। ঈদুল আজহা নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেখানে কী হতে পারে সেটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ করেছি।' তিনি বলেন, 'কূটনৈতিক এলাকা ও ধর্মীয় উৎসব স্থলসহ সব জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনী কাজ করছে ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আমি মনে করি তাদের সেই সক্ষমতা, সেই দক্ষতা নেই। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না, তাদের সম্পর্কে সব সময় আমাদের অবহিত করছেন, যে যেখানে নিউজ পাচ্ছেন। এজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি দমনে সফল হয়েছিল।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে। সেটা নিয়ে তারা অনেক ধরনের জল্পনা-কল্পনা করে, সেগুলোর কিছু অংশ আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ইঙ্গিত পায়। এগুলো সিরিয়াস কিছু নয়। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারবে আমরা বিশ্বাস করি না। যে কথাবার্তাগুলো আসছে তা নিছকই জানান দেওয়ার জন্য। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন জঙ্গিদের উত্থানের একটা প্রচেষ্টা ছিল, সারা বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই জঙ্গি আবির্ভাব হয়েছিল। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য বানানোর জন্য, অকার্যকর দেশ বানানোর জন্য একটা প্রচেষ্টা ছিল। সেখানে আমাদের নিরাপত্তাবহিনী, আমাদের পুলিশ,র্ যাব, গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অত্যন্ত প্রফেশনালি হ্যান্ডেল করেছে।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আজ জঙ্গি বলুন, সন্ত্রাস বলুন- এগুলো থেকে আমাদের দেশ রেহাই পেয়েছে। কিন্তু আমি সব সময়ই বলেছি, জঙ্গি আমরা কন্ট্রোলে এনেছি কিন্তু আমরা এদের একদম সমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। ছোট ছোট সিস্নপিং সেল এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে অবস্থানে আছে। সেগুলোর কার্যকারিতা তেমন কিছু নেই। মাঝেমধ্যে তাদের উপস্থিতি বোঝাবার জন্য কিছু কিছু ঘটনা ঘটাবার চেষ্টা করে। সেগুলো আমাদের পুলিশ, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, আমাদেরর্ যাব যথার্থভাবেই দমন করছে।'