ডিএসসিসির ৬১১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৬১১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। গতকাল নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় মেয়র ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৫৮৫.৩১ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেটও ঘোষণা করেন।  ব্যারিস্টার তাপস বলেন, টাকার অংকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২.৩৭ গুণ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আয়ের খাতগুলোর মধ্যে নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০৯.০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৩৫০ কোটি, বাজার সালামী বাবদ ১৬৫ কোটি, বাজার ভাড়া বাবদ ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ১০০ কোটি, বিজ্ঞাপন কর বাবদ ৫০ কোটি, বাস-ট্রাক টার্মিনাল হতে ১০ কোটি, অস্থায়ী পশুরহাট ইজারা বাবদ ১২ কোটি, ইজারা (টয়লেট, পার্কিং, কাঁচাবাজার ইত্যাদি) বাবদ ৪৫ কোটি, রাস্তা খনন ফিস বাবদ ৪০ কোটি, রিকশা লাইসেন্স ফিস বাবদ ২৪ কোটি টাকা, ইউটিলিটি সার্ভিস প্রদানে রাস্তা ব্যবহারের ফিস বাবদ ১২ কোটি, টোল জাতীয় কর বাবদ ১২ কোটি, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ১০ কোটি, প্রাইভেট হাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিটউট, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ইত্যাদি নিবন্ধন ফি বাবদ ১০ কোটি, প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী নিবন্ধন ও বাৎসরিক ফিস বাবদ ৯ কোটি, টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি নিবন্ধন ফি বাবদ ৫ কোটি, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া বাবদ ৩ কোটি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর খাতে ৬০ কোটি, ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ কোটি, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের জন্য আবেদনের ওপর কর বাবদ ৫ কোটি, পেট্রোল পাম্প বাবদ ২.৮৯ কোটি এবং অন্যান্য ভাড়া (ভূমি, নাট্যমঞ্চ, ছিন্নমূল ও নগর ভবন ইত্যাদি) ২ কোটি  টাকা আয় হবে বলে আশা করছি। এছাড়া সরকারি মঞ্জুরি (থোক) হতে ৫০ কোটি ও সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি বাবদ ১০০ কোটি, সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যতামূলক প্রকল্প খাতে ৪৭৬৬.৫৭ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছি। বাজেটের উলেস্নখযোগ্য ব্যয়ের খাতগুলো হলো- বেতন ভাতা বাবদ ২৬৪ কোটি, বিদু্যৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৫০ কোটি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৪ কোটি, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম (মনিটরিং ও সার্ভাইলেন্সসহ) বাবদ ৩৫ কোটি, মালামাল সরবরাহ বাবদ ২১.৫৮ কোটি, ভাড়া, রেটস্‌ ও কর খাতে ৪.৪০ কোটি, কল্যাণমূলক ব্যয় বাবদ ২০.০৫ কোটি, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বাবদ ৩.৫০ কোটি, ফিস বাবদ ২৪.০০ কোটি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ বাবদ ৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।