জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও আরিফুল চৌধুরী -ফাইল ছবি
জেকেজি হেলথ কেয়ারে নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা, জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার তদন্তে। প্রতারণায় সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ মোট আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
ডা. সাবরিনা সরকারি হাসপাতাল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চাকরি করার পরও তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান ছিলেন আর তার স্বামী আরিফুল চৌধুরী ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী।
গত মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই দম্পত্তি কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত শেষ হওয়ায় বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী চার্জশিট জমা দেন।
ডিবি পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীকে প্রতারণার মূল হোতা উলেস্নখ করা হয়েছে। ওই দুইজন ছাড়াও আরও ছয়জনের বিরুদ্ধেও চার্জশিটে নাম এসেছে। ওই ছয়জন হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। তাদের বিরুদ্ধেও জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
মামলার তদন্তকালে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তারা কয়েক দফায় রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাদের সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে চার্জশিটভুক্তরা কারাগারে রয়েছেন।
