কাঁচামাল আমদানিতে গণস্বাস্থ্যকে এনওসি দিয়েছে সরকার

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রণয়ন করা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে যেসব কাঁচামাল প্রয়োজন, সেগুলো আমদানিতে সরকারের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেগুলো আসতে ১৫ দিন লাগতে পারে। এরপর ফের বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, 'কিট এখনো মূল্যায়নের অপেক্ষায়। ওষুধ প্রশাসন প্রণয়ন করা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নীতিমালা অনুযায়ী মূল্যায়নের জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টি দরকার বা জিনিসগুলো দরকার, সেগুলো আনার প্রক্রিয়ায় আছি। এনওসি পাওয়া গেছে। ওগুলো এনে তারপর শুরু হবে। তিনি বলেন, 'এফডিএ'র গাইডলাইন অনুযায়ী টেস্ট করতে হলে স্যাম্পলগুলো এরাইজার কিট দিয়ে ওটাকে ক্যারেক্টারাইজড করে তারপর করতে হবে। এ কারণে রিএজেন্ট বা এরাইজার কিটটা এখনো বাংলাদেশে এসে পৌঁছেনি। ওটা আনার জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। ওটা এলে বিএসএমএমইউতে এটা ব্যবহার করে স্যাম্পল ক্যারেক্টারাইজ করে তারপর টেস্ট করা হবে।' বিএসএমএমইউতেই এবার কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, 'বিএসএমএমইউতে করা হবে। যেহেতু তারা আগে করেছে, বিষয়টা জানে, সেখানেই করাটা ভালো।' এফডিএর নীতিমালা অনুযায়ী কিটের সক্ষমতা যাচাই করতে বিএসএমএমইউ সক্ষম কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, রিএজেন্ট চলে এলেই করতে পারবে। কিছু লাগবে না। রিএজেন্ট আসতে ১৫ দিনের মতো লাগতে পারে। ইতোমধ্যে এগুলো আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।' বিএসএমএমইউতে এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে এক মাসের বেশি সময় লেগেছিল। এ বিষয়ে ড. বিজন কুমার বলেন, 'এবার অনেক দ্রম্নত করা সম্ভব হবে। কারণ এবার স্যাম্পল অনেক কম পরীক্ষা করা হবে। গতবার পরীক্ষা করা হয়েছিল ৫০০টি স্যাম্পল, এবার করা হবে ১২০টি। এবার অনেক কম সময় লাগতে পারে।' দেশের বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. বিজন কুমার বলেন, করোনা এখন ধীরে ধীরে উপশহর, গ্রামের দিকে ঢুকছে। ঢাকায় কিন্তু এখন কম। মানুষ যেহেতু ঈদের সময় বাড়ি গেছে, ভাইরাসটাও ধীরে ধীরে ওই দিকেই যাচ্ছে। এটার সম্ভাবনা বেশি।