কয়েদি পলাতক ১২ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এক কয়েদি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় কারাগারের প্রধান কারারক্ষীসহ ৭ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং মোট ১২ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই কয়েদির নাম আবু বকর সিদ্দিক। আবু বকর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডীপুর এলাকার তেছের আলী গাইনের ছেলে। তিনি যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। এ ছাড়া এ ঘটনায় কারাগারের জেলার মো. বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপ করতে গিয়ে ওই কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কয়েদিকে কারাগারের ভেতরে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এ ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ ৭ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এ সাতজনসহ আরও ৫ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। তিনি আরও জানান, এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। তখন তিনি ৪০ সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাকে একটি ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কারাগারের কোথাও আবু বকর সিদ্দিক লুকিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রথমে ধারণা করা হয়। কিন্তু শুক্রবার বিকালেও তাকে কারাগারের কোথাও খুঁজে না পাওয়া গেলে কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. বাহারুল ইসলাম ওই মামলার বাদী হয়েছেন।