একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম দিনেই ৩ লাখ আবেদন

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম রোববার শুরু হয়। ভর্তির আবেদনপত্র পূরণে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করেন শিক্ষার্থীরা। ছবিটি রাজধানীর বেইলি রোড থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা
এসএসসির ফল প্রকাশের ৭০ দিনের মাথায় শুরু হলো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম। তবে প্রথমদিনের কার্যক্রমে রয়েছে সার্ভারের ধীরগতির অভিযোগ। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরিতে হলেও অবশেষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এদিকে প্রথমদিনেই প্রায় ৩ লাখ আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী আবেদনের সঙ্গে টাকা পরিশোধ করেছেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডসূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মো. মনজুরুল ইসলাম যায়যায়দিনকে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২ লাখ ৬৬ হাজার আবেদন পড়েছে। রাত পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩ লাখের কাছাকাছি হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বোর্ডের সার্ভারে কোনো সমস্যা নেই। কেউ আবেদন করতে গিয়ে সার্ভারে সমস্যা হলে ব্যক্তিগত ব্রাউজিংয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে বিকাশের পেমেন্টের কিছু সমস্যা ছিল এটা জেনেছি। এ সমস্যা যাতে না হয়, বিকাশের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। আশা করি, সমস্যা থাকবে না। জানা গেছে, চলতি বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসএসসির পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশে পেরিয়ে গেছে দুমাসেরও বেশি সময়। এতদিনে স্কুলের গন্ডি পেরনো শিক্ষার্থীদের কলেজে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও কোভিড-১৯ ধাক্কায় ছন্দপতন ঘটে। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হলো এইচএসসির ভর্তি কার্যক্রম। দেরিতে হলেও কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারছেন ৫টি থেকে সর্বোচ্চ ১০ কলেজে ভর্তির জন্য। যদিও ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দিনে সার্ভার সমস্যা ও টাকা পরিশোধে ছিল ধীরগতির অভিযোগ। তবে সার্ভার সমস্যার অভিযোগ মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউল হক বলেন, প্রথমদিন দুপুর ১টার মধ্যেই জমা পড়ে এক লাখেরও বেশি আবেদন। তবে অর্থ পরিশোধে যে জটিলতা হচ্ছে তা স্বীকার করেন তিনিও। সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেটের গতি। এখন এক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে বিকাশে টাকা পাঠানোতে। এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ করে আবেদন করতে হবে। এতে তাদের পক্ষে প্রথম পর্যায়েই কলেজ পাওয়া সম্ভব হবে। আর শিক্ষার্থী কোনো সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারবে। গত বছরের মতো এবার এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি আবেদনের সুযোগ নেই। শুধু অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ করতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে আজ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। তবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়। শিক্ষার্থীরা নিশ্চায়ন করতে পারবে ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। নিশ্চায়ন না করলে প্রথম পর্যায়ের আবেদন বাতিল হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে একই দিন রাত ৮টায়ই। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন করা যাবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। এই পর্যায়ের নিশ্চায়ন করতে হবে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। ভর্তি চলবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।