করোনাভাইরাস

২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ মৃত্যু, শনাক্ত ২৯৯৬

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৩৩ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৭১ জন মারা গেলেন। একই সময় শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৯৬ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জন। তবে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৩৫ জনসহ এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ তথা করোনা সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। এসময় সর্বশেষ অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৩১৭টি নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই শেষে ৮৫টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। বুলেটিনে তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ২ হাজার ৭৪৯ জন এবং ৭২২ জন নারী মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। মৃতদের বিভাগবিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন, ময়মনসিংহে ১ জন এবং রংপুরে ৪ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৬৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৫ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৪৫ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৫৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮০১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৮০৭ জন। এর আগে সোমবারের (১০ আগস্ট) বুলেটিন অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনের মৃতু্য হয়। ওই সময় ১২ হাজার ৮৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২ হাজার ৯০ জন। এর আগে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ৪ হাজার ১৯ জনের। যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃতু্যপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃতু্য হয় ১৮ মার্চ। প্রসঙ্গত, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আজ। এরপর থেকে দুপুর আড়াইটায় নিয়মিত এই বুলেটিন আর হবে না।