২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪২ শনাক্ত ২৯৯৫

করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৩ হাজার ছাড়াল

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় আরও ৪২ জনের মৃতু্য নিশ্চিত করেছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ৫১৩ জন। গতকাল বুধবার (১২ আগস্ট) করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। করোনাবিষয়ক দৈনন্দিন অনলাইন বুলেটিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম দিনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশে করোনা সংক্রমণ পরস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ১৪ হাজার ৫৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর নিবিড় যাচাই-বাছাই শেষে পূর্বে জমে থাকা কিছু নমুনাসহ ৮৬টি আরটিপিসিআর পরীক্ষাগারে মোট ১৪ হাজার ৭৫১টি নমুনা পরীক্ষা হয়। তবে এর আগের দিন ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ২ হাজার ৯৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়। এছাড়া করোনা সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জনের মৃতু্য হয়। যাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন ও বাড়িতে মারা গেছেন ৩ জন। সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ২ হাজার ৭৮২ জন ও নারী মারা গেছেন ৭৩১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সি ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সি ১১ জন ও ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন ছিলেন। যাদের বসবাসের স্থান পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঢাকা বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রামের ৩ জন, খুলনার ৩ জন, বরিশালের ১ জন, সিলেটের ৪ জন, রংপুরের ২ জন ও ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন ২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৭৩৯টি। যার মধ্যে মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১১৭ জনসহ এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বলে জানানো হয়। এছাড়া করোনা উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮১৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে আছেন ২০৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫২ জন। একইভাবে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৮৬২ জনকে ও আইসোলেশন থেকে ৩৯২ জন ছাড়া পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃতু্যপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃতু্যর ঘটনা ঘটে।