করোনায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬১৬

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাজনিত অসুস্থতায় আরও ৪৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা তথা কোভিড-১৯ এ দেশে মোট ৩ হাজার ৫৫৭ জন মারা গেলেন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬১৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হলেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৮২ জন সুস্থ হওয়াসহ এখন পর্যন্ত ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ জন। করোনা নিয়ে সরাসরি প্রচারিত অনলাইন বুলেটিন বন্ধের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশ থেকে ১২ হাজার ৮৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর সংগৃহীত নমুনাগুলো যাচাই-বাছাই শেষে পূর্বে জমে থাকা কিছু নমুনাসহ মোট ১৩ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনাগুলো নিবিড় পরীক্ষা করে আরও ২ হাজার ৬১৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩১ জন পরুষ এবং নারী ১৩ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮১৩ জন পুরুষ (৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ) এবং ৭৪৪ জন নারী (২০ দশমিক ৯২ শতাংশ) মৃতু্যবরণ করেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতু্যবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। এছাড়া বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতু্যবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ৪ জন এবং রংপুরে ২ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, করোনা সন্দেহে গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে (পৃথকীকরণ) রাখা হয়েছে ৮১৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৭০৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৩৫ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩১২ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৬০ হাজার ২০ জনকে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৬১ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৩ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৯০২ জন। এদিকে বুধবারের (১২ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন মারা গেছেন। ওই সময় ১৪ হাজার ৭৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৯৯৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। একইভাবে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ৪ হাজার ১৯ জনের। যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়ানো প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধিটি গোটা বিশ্বকে মতু্যপুরীতে পরিণত করেছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি আট লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে মৃত্যের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার প্রায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃতু্য হয়।