বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
শনাক্ত ১৭২৪ জন

করোনাভাইরাসে আরও ৪৩ মৃত্যু

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৪৩ জনের মৃতু্য হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৪ জন। মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৭২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬ জন হলো। আর গত একদিনে মারা যাওয়া ৪৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০২ জনে দাঁড়াল। আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৪৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন হয়েছে। মৃতদের ৮০ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব : বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বা ষাটোর্ধ্বই রয়েছেন ৩২ জন। যা কিনা প্রায় ৮০ শতাংশ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট মারা যাওয়া চার হাজার ৮০২ জনের মধ্যে দুই হাজার ৪১৭ জনই ষাটোর্ধ্ব। প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে ষাটোর্ধ্বদের ঝুঁকিপূর্ণ বলে এসেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অন্যান্য জটিল অসুখ। অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব দুই হাজার ৪১৭ জন ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন এক হাজার ৩০৬ জন (২৭ দশমিক ২০ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬২৩ জন (১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৮৫ জন (পাঁচ দশমিক ৯৪ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১০৯ জন (দুই দশমিক ২৭ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪১ জন (শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ) এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে ২১ জন (শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ)। আবার এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া চার হাজার ৮০২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩৩৯ জন (শতকরা হিসেবে ৪৮ দশমিক ৭১ শতাংশ)। চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছেন এক হাজার আট জন (২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ), রাজশাহী বিভাগে ৩২৩ জন (ছয় দশমিক ৭৩ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৪০৬ জন (আট দশমিক ৪৫ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ১৮০ জন (তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ২১৬ জন (চার দশমিক ৫০ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ২২৮ জন (চার দশমিক ৭৫ শতাংশ) এবং ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন ১০২ জন (দুই দশমিক ১২ শতাংশ)। উলেস্নখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৯২ লাখ ছাড়িয়েছে; মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ২৮ হাজার পেরিয়ে গেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে