রিফাত হত্যা

মিন্নিসহ ১০ আসামির ভাগ্য নির্ধারণ ৩০ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

বরগুনা প্রতিনিধি
বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন খুন হওয়া রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি -যাযাদি
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। বুধবার দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন। রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তারিখ ঘোষণা করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এক আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর সব আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। বুধবার নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায়ের দিন ধার্য করে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ভুবন চন্দ্র হালদার বলেন, 'আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এছাড়া মামলার ৭ নম্বর আসামি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত উভয় পক্ষের আবেদন শুনানি শেষে আয়শার নিযুক্ত আইনজীবীর জিম্মায় আয়শাকে জামিন দিয়েছে।' গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকান্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দু'ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। এ বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়শা সিদ্দিকা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।