পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সময় চান বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এক মাস সময় চেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পেঁয়াজের জন্য এক মাস কষ্ট সহ্য করতে হবে। এক মাস আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। এক মাসের মধ্যে সাপস্নাই চেইন ফুল করে দেব। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। টিপু মুনশি বলেন, বর্ডারে আটকে থাকা পেঁয়াজ দু-একদিনের মধ্যে প্রবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য জেল-জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ১২০০-১৩০০ টন পেঁয়াজ লোড হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে আসবে। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে পেঁয়াজের বর্তমান মজুত রয়েছে ৫ লাখ টন। আর চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৪ লাখ টন। তাই পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে টিসিবির সঙ্গে ই-কমার্স যুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। উলেস্নখ্য, গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে পেঁয়াজভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক। একই অবস্থা অন্য স্থলবন্দরেও। ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার কিছু নীতিগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম। একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়। এক মাস আগে দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ফলে পেঁয়াজের বাজার দ্রম্নত নিয়ন্ত্রণে আনতে গত রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।