করোনায় দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৩

যাযাদি রিপোর্ট

সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃতু্য হয়েছে। যা গত দেড় মাসের (৪৬ দিন) মধ্যে একদিনে সবচেয়ে কম মৃতু্য। এর আগে ২ আগস্ট সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃতু্যর কথা জানিয়েছিল। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮২৩ জনে পৌঁছাল। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৯৪টি ল্যাবে ১৩ হাজার ২৫৮টি নমুনা জমা পড়ে। আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৩৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৬১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতু্যর সংখ্যা কমেছে। আগের দিন ৪৩ জনের মৃতু্যর তথ্য জানানো হয়েছিল। আর দেশে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭০ হাজার ১০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শতাংশ হিসাবে এ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৭৫ জন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং ৫ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৭৬০ জন এবং ১ হাজার ৬৩ জন নারী মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। এছাড়া বসবাসের স্থান অনুযায়ী বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন এবং সিলেটের ১ জন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২০ জন ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩১২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩২০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৯৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেট করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮০৯ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ১৭০ জনকে। এছাড়া কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৬১ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ২০৭ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার ২৪৬ জন। প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে পরীক্ষা কমিয়ে আনার ফলে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে। তবে মৃতু্য সেভাবে কমছে না।