প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা

ডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্সের (মৃতু্যদন্ড নিশ্চিতকরণ) ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উলস্নাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল। আসামিপক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ আহসান। পরে ড. মো. বশির উলস্নাহ বলেন, বুধবার রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে বিচারিক আদালতের রায়ের অপারেটিং অংশ উপস্থাপন করেছি। এছাড়া একজন আসামির জবানবন্দিও উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন। ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দুদিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকান ঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দুটি ঢাকার ২নম্বর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃতু্যদন্ডাদেশ দেয় আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদন্ডও দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালের বিচারক মমতাজ বেগম। অন্য মামলায় ৯ জনকে ২০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।