গ্রেপ্তারের পর মিডিয়া ব্রিফিং বিচারকে প্রভাবিত করে মন্তব্য হাইকোর্টের

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আসামিদের গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে ও বিচার শেষ হওয়ার আগেই ব্রিফিং করে মিডিয়ার সামনে আনা বিচারকে প্রভাবিত করা সমান বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন। জীবিত থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের শুনানিকালে এ কথা জানায় আদালত। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, 'আসামি গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে বিচার শেষ হওয়ার আগেই ব্রিফিং করে আসামিদের মিডিয়ার সামনে আনা বিচারকে প্রভাবিত করার সমান। একই সঙ্গে তদন্ত চলার সময়ে মামলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিডিয়ায় টকশো করে, যা অনুচিত।' আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, উন্নত বিশ্বের সব জায়গায় জবানবন্দি নেওয়ার সময় আইনজীবী থাকেন। এটি বাংলাদেশেও থাকা উচিত। এরপর আদালত শুনানি শেষে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার আদেশের দিন নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আবদুলস্নাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে আসামিদের জেলে পাঠানো হয়; কিন্তু ২৩ আগস্ট মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এরপর প্রশ্ন দেখা দেয় আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিল। জীবিত থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত সদর থানার কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।