দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ মৃতু্য শনাক্ত ১৫৯৩

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ তথা করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জনে। এছাড়া ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ৪ হাজার ৮৫৯ জনের মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করল সরকার। প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ১৩ হাজার ৭৬৯টি নমুনা সংগ্রহ হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ৯৪টি কোভিড-১৯ ল্যাবে ১৩ হাজার ৬৭৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ ৬ সময় ১ হাজার ৫৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়। ফলে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৯টি। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ হওয়ায় আগের দিনের চেয়ে পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৪৪৩ জন সুস্থ হওয়ার কথা বলা হয়। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫০ হাজার ৪১২ জনে। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৭৪ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী সর্বশেষ মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ ও নারী ৮ জন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৪ ও বাড়িতে দুজনের মৃতু্য হয়েছে। মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশোর্ধ্ব দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চলিস্নশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন। বসবাসের স্থান অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ২, বরিশালে ৩, সিলেট এবং রংপুরে একজন করে ছিলেন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৭৮৮ (৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৭১ জন (২২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ)। প্রসঙ্গত গত বছরের শেষদিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়ানো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণের গতি ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার ধারণ করে। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে। তবে মৃতু্য সেভাবে কমছে না। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার পেরিয়ে গেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ এবং মৃতের সংখ্যায় ২৮তম অবস্থানে।