করোনায় প্রাণ গেল আরও ২২ জনের শনাক্ত ১৫৪১

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃতু্য হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ জন। এ নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ তথা করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫ জনে। এছাড়া ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ৪ হাজার ৮৮১ জনের মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করল সরকার। প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ১২ হাজার ৮১৪টি নমুনা সংগ্রহ হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ৯৫টি কোভিড-১৯ ল্যাবে ১২ হাজার ৭৩০টি নমুনা পরীক্ষা হয়। নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এসময় ১ হাজার ৫৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়। ফলে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৯টি। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৫ জন হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী সর্বশেষ মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও নারী ৬ জন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে ২১ ও বাড়িতে একজনের মৃতু্য হয়েছে। এদের মধ্যে চলিস্নশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন ছিলেন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ জন, খুলনা বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগের ২ জন, রংপুর বিভাগের ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৮০৪ জন (৭৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ) এবং নারী ১ হাজার ৭৭ জন (২২ দশমিক ৭ শতাংশ)। প্রসঙ্গত গত বছরের শেষদিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়ানো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণের গতি ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার ধারণ করে। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট মাস থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে। তবে মৃতু্য সেভাবে কমছে না। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ৯ লাখে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় ২৮তম অবস্থানে রয়েছে।