করোনার ভ্যাকসিন পেতে অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরামর্শ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দ্রম্নত পেতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অগ্রিম টাকা দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এছাড়া করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ রোধে সীমিত পরিসরে আসন্ন দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনসহ আরও কিছু পরামর্শ সরকারকে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির ১৯তম অনলাইন সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুলস্নার সভাপতিত্বে করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় দ্রম্নত ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণের প্রস্তুতিতে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটি জানায়, বিশ্বের সব দেশ ভ্যাকসিন সংগ্রহ নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতায় থাকায় কয়েকটি দেশ এ ভ্যাকসিন কেনার জন্য অগ্রিম টাকা \হজমা দিয়েছে। এছাড়া গ্যাভির ভ্যাকসিন পেতে বেশ দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাংলাদেশেরও অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে ভ্যাকসিন বুকিং করা প্রয়োজন। কমিটি আরও জানায়, কোনো কোনো ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার কোল্ড চেইনের ব্যবস্থা দেশে নেই। ভ্যাকসিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে সে বিষয়টির দিকে লক্ষ রাখা যেতে পারে বা উলিস্নখিত তাপমাত্রার কোল্ড চেইনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কমিটির মতে, কোনো একটি ভ্যাকসিনের জন্য কাজ না করে একাধিক উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ভ্যাকসিন প্রাপ্তির পর প্রদানের কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করতে হবে এবং এখনই ভ্যাকসিন ডিপস্নয়মেন্ট পস্ন্যান চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। ভ্যাকসিন প্রদানের পরবর্তী সময়ে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলোআপ করার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। ভ্যাকসিনবিষয়ক বিশেষ কমিটিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির প্রতিনিধি রাখার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ট্রায়াল কার্যক্রমের উপযুক্ত ও দক্ষ; তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আইইডিসিআর ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। পরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারলে আরও বেশি সংক্রমণ শনাক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি। সভায় জানানো হয়, অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়ে একটি নীতিমালা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনের কিটের অনুমোদন এখনো না দিলেও তিন পদ্ধতিতে (পিসিআর, অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট) কোভিড-১৯ পরীক্ষা কার্যক্রম পাশাপাশি থাকলে তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। সংক্রমণ রোধে কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদ্‌?যাপন করার জন্য পরামর্শ দেয় কমিটি। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।