অর্ধেক দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খুলতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে পারে। তবে অর্ধেক দর্শক নিয়ে সিনেমা হল চলবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে সিদ্ধান্ত ভিন্ন হবে। সোমবার সচিবালয়ে হল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সম্রাটসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, সিনেমা হলের সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে, বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক সময় এক হাজার ২০০ সিনেমা হল ছিল, এখন ২০০ আছে। বন্ধ সিনেমা হল চালু, হল আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণ করতে চাইলে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তহবিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি দলে প্রচার সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেছি। এখন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হয়। সে মিথ্যাচারের জবাব দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবেই। আমাদের সমালোচনা অবশ্যই আমাদের প্রতিপক্ষ করতে পারে। তাদের সমালোচনাও আমাদের পক্ষ থেকে হতে পারে। কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বিষোদ্গার করা রাজনৈতিক শিষ্টচার বহির্ভূত। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা গত জুলাই মাস থেকে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম কীভাবে হলগুলো খোলা যায়। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যে প্রস্তাবনা গেছে সেটাতে প্রধানমন্ত্রী সিনেমা হল মালিকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য যে বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রণোদনা। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে চলচিত্রের বাজার যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে দেশীয় চলচিত্র শক্তিশালী হতে পারে না। সেজন্য বাজার সৃষ্টিতে বিদ্যমান হলগুলোকে সংস্কার, বন্ধ হলগুলো পুনরায় চালু করা ও নতুন হল বা সিনেপেস্নক্স তৈরি করে বাজার সম্প্রসারণ করা। বাজার সম্প্রসারণ হলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে।