সৌদি-ওমানের সব ফ্লাইট চালু ১ অক্টোবর

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সৌদি আরব ও ওমানগামী বাতিল হওয়া সব রুটের ফ্লাইট আগামী ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এতে অপেক্ষারত প্রবাসীরা দেশ দুটিতে পৌঁছে কাজে যোগ দিতে পারবেন। পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট থাকতে হবে এবং পৌঁছে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সৌদি আরবে কাজে যোগদানের বিষয়ে যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা আশা করছি, তার সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। এরপরও আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।' প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান সরকার প্রবাসীদের বিষয়ে বরাবরই আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে চতুর্থ দফায় আরও ২৪ দিন প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ল্যান্ডিং পারমিশনও দেওয়া হয়েছে। ফলে এরই মধ্যে যেসব প্রবাসী সৌদি থেকে রিটার্ন টিকিটে বাংলাদেশে এসে লকডাউনের কারণে আর ফিরতে পারেননি, তাদের সৌদি ফেরাতে দুটি বিশেষ ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বিমানের বিশেষ এই ফ্লাইট দুটি চালু হবে। পাসপোর্ট পুনরায় ইসু্য এদিকে সৌদিতে অবস্থান করা কোনো রোহিঙ্গার যদি আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলেই সেটা পুনরায় ইসু্য করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তবে যাদের কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই, তাদেরটা পুনরায় ইসু্য হবে না বলে জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে অনেক রোহিঙ্গা নিয়ে গিয়েছিল সৌদি আরব। এখন সেসব রোহিঙ্গাদের কোনো ডকুমেন্ট নেই। তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানেই জন্ম নিয়েছে। সেখানেই বেড়ে উঠেছে। তারা বাংলাও জানে না। সৌদি সরকার তাদের জন্য পাসপোর্ট দিতে আমাদের অনুরোধ করেছে। কেননা সৌদি আরব তার দেশে কোনো রাষ্ট্রহীন লোক রাখে না। তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবকে জানিয়েছি কোনো রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্ট থেকে থাকলেই আমরা সেটা পুনরায় ইসু্য করতে পারি, অন্যথায় নয়। তবে সৌদি আরব জানিয়েছে, পাসপোর্ট ইসু্য না করা মানেই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নয়। ড. মোমেন বলেন, সৌদি আরবের জেলে ৪৬২ জন রোহিঙ্গা আছেন। আমরা মিশন থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, তাদের মধ্যে ৭০-৮০ জনের বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে। তাই কেবল এই পাসপোর্টধারীদেরই ফেরত আনা যেতে পারে। সৌদি থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত না আনলে বাংলাদেশের প্রবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এটা দুষ্টু লোকজন প্রচার করছে, এটা ঠিক নয়।