৩ বিভাগে নতুন মৃতু্য নেই

করোনায় ঝরল আরও ২১ প্রাণ, শনাক্ত ১৩৮৩

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসজনিত অসুস্থতায় আরও ২১ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৩ জনে দাঁড়াল। একই সময়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৩ জন। এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হলেন। তবে গত একদিনে বরিশাল, সিলেট ও মযমনসিংহ এই তিন বিভাগে ভাইরাসটিতে নতুন করে কারও মৃতু্য হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা সারাদেশ থেকে ১২ হাজার ৫৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর যাচাই-বাছাই করে ১০৩টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৩২ জনসহ এ পর্যন্ত ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন এবং নারী ৭ জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ মৃতু্যবরণ করেছেন ৩ হাজার ৯৪৯ জন এবং নারী মৃতু্যবরণ করেছেন ১ হাজার ১৪৪ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ মোট ৭৭ দশমিক ৫৪ এবং নারী ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুরে একজন করে। যাদের সবাই হাসপাতালে মৃতু্যবরণ করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের আট বিভাগের ১০টি এলাকায় চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকাগুলো হলো ঢাকা বিভাগের ঢাকায় ৮১১ জন, গাজীপুরে ৯৭ জন, কিশোরগঞ্জে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিলস্নায় ১৩৩ জন, চট্টগ্রামে ৪৫৭ জন, খুলনা বিভাগের যশোরে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় ১১ জন, রংপুর বিভাগের রংপুরে ৩৫ জন, সিলেট বিভাগের সিলেটে ৩১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহে ১৩৩ জন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক রাজধানী ঢাকায় ৮১১ জন এবং সর্বনিম্ন রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় ১১ জন আক্রান্ত হন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত ৯২০ জন। ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ২২৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ২১৭ জনকে। ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ হাজার ৮৫৮ জন। একইভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২২৬ জনকে। ছাড় পেয়েছেন ৩০১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮০ হাজার ২৮৫ জনকে। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৯১১ জন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৩ লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২২ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৮৩ হাজারের ঘরে।