কুষ্টিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে ২৬১ চালকল

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া
খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেও অসহযোগিতার কারণে কুষ্টিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে জেলার ২৬১টি চালকল। কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহসিনুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান কী কারণে চুক্তি ভঙ্গ করেছে সেটি খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহসিনুল হক জানান, যারা চুক্তি করেও চাল দেয়নি তাদের তালিকা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী এসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এসব মিলের জামানত বাজেয়াপ্ত, প্রণোদনা বাতিল ও আগামী দুই মৌসুম চাল সরবরাহ থেকে চুক্তির বাইরে রাখার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে খাদ্য বিভাগ। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জানান, এ বছর দেশে প্রচুর ধান উৎপাদনের পরেও ধানের বাজার বেড়ে যায়। আর বোরো মৌসুমে মোটা ধানের উৎপাদন হয় একেবারেই কম। এ কারণে সরকার নির্ধারিত দরের তুলনায় চালের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে গেছে। মিল মালিকরা কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা লোকসান দিয়েও চাল সরবরাহ করেছে। যারা চুক্তি করে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবলে ভালো হয়। ছোট মিলাররা এমনিতেই দেউলিয়া হয়ে গেছে, তার ওপর কড়া পদক্ষেপ নিলে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, বোরো মৌসুমে যারা লোকসানে চাল দিয়েছে তাদের আগামীতে বাড়তি সুবিধা দিতে হবে। জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে সময় বাড়িয়েও সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার মেট্রিক টনের কিছু বেশি। জানা গেছে, জেলায় অটো ও হাসকিং মিলিয়ে চালকল রয়েছে ৫৩৫টি। এর মধ্যে অটো চালকলের সংখ্যা ৪৯টি। আপৎকালীন মজুতের লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব চালকল থেকে চাল কেনার চুক্তি করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ। তবে চুক্তিভঙ্গ করে ২৫৮টি হাসকিং (ম্যানুয়াল) ও ৩টি অটো রাইস মিল এবার এক ছটাক চালও সরবরাহ করেনি। আংশিক সরবরাহ করেছে ১২টি মিল। তবে ২৬৫টি চালকল পুরো চাল সরবরাহ করেছে।