করোনার হালনাগাদ তথ্য দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃতু্য বেড়েছে

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৩৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। একই সময় ভাইরাসটিতে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০৬ জন। তবে আগের দিন শুক্রবারের তুলনায় গতকাল শনিবারের সংখ্যা হিসাবে একদিনে দেশে শনাক্ত রোগী কিছুটা কমলেও মৃতু্যর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনের মতো (শনিবার) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সর্বশেষ হালনাগাদ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা সারাদেশ থেকে ১০ হাজার ৬৮০টি নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর যাচাই-বাছাই করে আগের কিছু স্যাম্পলসহ ১০৪টি ল্যাবরেটরিতে মোট ১০ হাজার ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ১০৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। একই সময়ে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশে ৩৬ জনের মৃতু্য হয়। তবে এর আগের দিন শুক্রবার দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৩ জন এবং ২১ জনের মৃতু্যর তথ্য জানানো হয়েছিল। এছাড়া গত ২ আগস্ট ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ১ হাজারের নিচে নেমেছিল। এরপর এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১২শ'-এর নিচে নামেনি। দেশে করোনা শনাক্তে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫টি। যার মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৩ জনে। একইভাবে ভাইরাসজনিত অসুস্থতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়াল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী গত একদিনে মৃতু্যবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৯৭৪ (৭৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ১৫৫ জন (২২ দশমিক ৫২ শতাংশ)। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৬ জনের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে চলিস্নশোর্ধ্ব ৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন। একইভাবে বসবাসের বিভাগ অনুযায়ী, ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, খুলনায় ১ জন, বরিশাল ১ জন, সি?লেট? ২ জন ও ময়মন?সিং?হে ১ জন র?য়ে?ছেন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃতু্যবরণ করেছেন ৩৫ জন এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২১৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৮৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৫৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৯৮ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৬৫৮ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৯৫৬ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ হাজার ৫৭০ জন।