উত্তরাঞ্চলে আবারও বন্যার আশঙ্কা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি আবারও বাড়ছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন অনেকে। আগের বন্যায় ধান পাট হারিয়েছেন কৃষক। বন্যায় এবার সবজি হারানোর শঙ্কায় কৃষক। আগের বন্যায় ডুবে যাওয়া চরগুলো থেকে পানি নেমে যাওয়ায় সেখানে পুরোদমে চাষাবাদ শুরু করেছিল কৃষক। কিন্তু পানি বাড়ার কারণে আবারও ডুবেছে চরের জমি। আগস্ট মাসে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর অনেক কৃষক তাদের জেগে ওঠা জমিতে ধান, মাষকলাই, শাক-সবজি আবাদ করেন। তবে কয়েকদিন ধরে যমুনা, ইছামতি, বাঙালি, ধরলা ৬ ও তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বেড়ে ফসল ডুবে গেছে। বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চরপাড়া গ্রামের কৃষক আকিমুদ্দিন শেখ বলেন, আগে বন্যার পেটে ধান গেছে, পাট গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পর বারবার চেষ্টা করছি চাষাবাদ শুরু করার কিন্তু পারছি না। চরের জমি বারবার বন্যায় ডুবছে, উঁচু জমিতে চাষ করতে পারছি না টানা বৃষ্টির কারণে। তিনি বলেন, বগুড়ার ধুনট, গাবতলী, সোনাতলা ও কাজীপুর উপজেলায় মরিচ চাষ হয়। ভাদ্র মাসের মধ্যেই এই মরিচ বপন করার কথা। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে জো আসছে না (শুকাচ্ছে না)। জমিতেও আমরা মরিচ চাষ করতে পারছি না। একই উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, গত জুলাই-আগস্টের বন্যায় দুই বিঘা জমির ধান তলিয়ে যাওয়ায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর এক সপ্তাহ হলো ধার করে টাকা এনে ওই জমিতে আবার ধান রোপণ করেছিলাম। যমুনার পানি বেড়ে জমিতে লাগানো ধান ডুবে যেতে বসেছে। ধুনট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, দফায় দফায় বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মাষকলাই, শাকসবজি বীজ ও আমন চারা প্রদান করা হয়। প্রণোদনা পেয়ে কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু অসময়ে নদীর পানি বাড়ায় কৃষকেরা মহাচিন্তায় পড়েছেন। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, উজানের ঢলে যমুনার পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই-এক বছর পরপর এ সময়ে যমুনার পানি বেড়ে বন্যা হয়। তবে যে হারে যমুনার পানি বাড়ছে, তাতে এবার আশ্বিনেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।