ফেরা নিয়ে শঙ্কায় সৌদি প্রবাসী শ্রমিকরা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনার কারণে দেশে আসা সৌদি প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না। ভিসার মেয়াদ কিংবা রিটার্ন টিকিট থাকলেও ফ্লাইট সংখ্যা কম থাকায় যাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের। সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত ফ্লাইটের সংখ্যা কম হওয়ায় খুব বেশি প্রবাসীর ফেরার সুযোগ এখনই হচ্ছে না। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ আরও ১ হাজার ৫০০ জন টোকেন দিলেও বাদ পড়বেন আরও কয়েক হাজার রিটার্ন টিকিটধারী প্রবাসী। ফলে রিটার্ন টিকিট থাকা সত্ত্বেও টোকেন না পাওয়ার শঙ্কায় শনিবার সকাল ১০টায় কারওয়ান বাজার এলাকায় প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ প্রবাসীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এসময় প্রবাসীরা টিকিটের টোকেন দেওয়ার দাবিতে নানা স্স্নোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফরিদপুরে সৌদি প্রবাসী সালাম মিয়া জানান, তার রিটার্ন টিকিটের তারিখ জুনে ছিল; কিন্তু এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এখনো মার্চের রিটার্ন টিকিটধারীদের টোকেন দিচ্ছে। এর ফলে এপ্রিল-মে-জুনের রিটার্ন টিকিটধারীদের টোকেন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সালাম মিয়াসহ এরকম কয়েক হাজার প্রবাসীর প্রশ্ন- আদৌ কি তারা ফিরতে পারবেন। রিটার্ন টিকিট থাকা সত্ত্বেও শত শত সৌদি প্রবাসী বিগত কয়েক দিন ধরে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনেই অবস্থান করছেন। কিন্তু কোনো সুখবর পাচ্ছেন না তারা। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই সোনারগাঁওয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেছেন বলে জানান তারা। আন্দোলনে দাবি আদায় হবে এমন আশা নিয়েই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তারা। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেতে টিকিটের কোনো সমস্যা হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সবাই যেতে পারবেন। শনিবার নিজের ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। শাহরিয়ার আলম বলেন, সবাই একসঙ্গে টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন বলে ভিড় হচ্ছে বা মনে হচ্ছে টিকিটের সংকট হচ্ছে, যা সত্য নয়। প্রয়োজনে ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানো হবে। অযথা হৈ-হুলেস্নাড় বা তাড়াহুড়োর কোনো প্রয়োজন নেই। দাম্মামেও ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বলেছি এবং তা করা হবে। যার তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ বাদ যাবে না। ঢাকার সৌদি দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নিয়ম মেনে প্রবাসীদের আবেদনের অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার। সরকারি হিসাবেই দেশটিতে প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। করোনার আগে দেশে এসে অন্তত অর্ধ লাখ শ্রমিক আটকা পড়েছেন। এসব প্রবাসী যদি ফেরত যেতে না পারেন তাহলে রেমিট্যান্স আয়ে বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে বহু পরিবারের আয় সংকুচিত হবে। \হ