দেশে করোনায় আরও ৩২ মৃতু্য নতুন শনাক্ত ১২৭৫

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ১০ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১৬১ জনে দাঁড়াল। দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ২৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই করে পূর্বের জমা কিছু কিছু স্যাম্পলসহ ১০ হাজার ৬৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৫ জন। এই সংখ্যা নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি। প্রতিদিনের মতো (রোববার) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৭১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৩১ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ১০ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের বসবাসের স্থান বিশ্লেষণে দেখা যায় ২০ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের ও ২ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ১৬১ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৯৯৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ১৬৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৯৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৬৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৩৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৮ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন প্রসঙ্গত, চীনের উহান শহরে সংক্রমণ ছড়ানো প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে। ২১ সেপ্টেম্বর তা সাড়ে ৩ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ (১৫তম) স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২৮ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৯৪ হাজারের ঘরে।