দেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৮৮ জন

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আরও ২৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৯ হলো। একই সময়ে ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৮ জন। এ সংখ্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাসবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ১২ হাজার ৭৬৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ১০৬টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৮৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১টি। এছাড়া সর্বশেষ পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৪৮৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জনে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬২৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৮ জনে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন এবং নারী ৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৫ জন এবং একজনের বাড়িতে মৃতু্য হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৩৯ জন (৭৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ) এবং নারী মৃতু্যবরণ করেছেন ১ হাজার ১৮০ জন (২২ দশমিক ২১ শতাংশ)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ২ হাজার ২১৫ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে প্রতি ১০ লাখের মধ্যে ১৬০৭ জন আর দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃতু্য হচ্ছে। এদিকে সর্বশেষ মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। পাশাপাশি বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন এবং সিলেটে ২ জন ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২১৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ২৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৮৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮১ হাজার ১৪২ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৭১৬ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৫১১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য ছিল। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৩৩ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।