যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকার চূর্ণবিচূর্ণ নিহত ৪, আহত ২

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে খুলনাগামী ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার -যাযাদি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাঙ্গাগেটে একটি প্রাইভেট কারে খুলনাগামী মহানন্দা ট্রেনের ধাক্কায় শিশুসহ প্রাইভেট কারের চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের অপর দুই যাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের দুজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নড়াইলের হীরক, তার বন্ধু আশরাফুল, তাদের একজনের স্ত্রী এবং সাত বছর বয়সি এক মেয়ে শিশু। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল ৫টার দিকে খুলনাগামী মহানন্দা ট্রেন ভাঙ্গাগেট পার হওয়ার সময় ভৈরব ব্রিজের সংযোগ সড়ক দিয়ে আসা একটি প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রেনটি প্রাইভেট কারটিকে ঠেলে ২০০-৩০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে থেমে যায়। কারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে কারটি বের করে আনলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলেই হীরক ভূঁইয়া (৪০), শিল্পী বেগম (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৪৫) ও ৭ বছরের এক শিশু কন্যা নিহত হয়েছে। এদের সবার বাড়ি নড়াইল জেলায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাইভেট কারে থাকা অপর দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নওয়াপাড়া রেল স্টেশনের মাস্টার মহসীন রেজা বলেন, ভৈরব নদের ওপার থেকে প্রাইভেট কারটি (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-০৩২৪) ভৈরব ব্রিজ পার হয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কে উঠছিল। ভাঙ্গাগেট এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে ২০০-৩০০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। প্রাইভেট কারে থাকা দুই শিশুসহ ছয়জনের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পাঁচ বছরের এক শিশু অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়ার পথে এবং আরেক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, 'ট্রেনের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ তিনজন নিহত ও খুলনা হাসপাতালে নেওয়ার সময় অপর একজন মারা গেছে। অপর দুই যাত্রী আহত হয়েছে।' অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি বিভাগের ডা. ইফফাত শারমীন বলেন, 'ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একটি শিশুকে (৫) মৃত অবস্থায় আনা হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে আমরা খুলনায় পাঠিয়ে দিয়েছি।'