লালমনিরহাট

হাট-বাজারে তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

তৌহিদুল ইসলাম লিটন
লালমনিরহাটের হাট-বাজারে কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক ও হান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, চলাফেরায় দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, খাদ্যে সতর্কতাসহ নানা বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, জেলায় ১০২টি হাট-বাজার রয়েছে। এসব হাট-বাজারে, \হবিশেষ করে গবাদি পশুরহাট, মাছবাজার, সবজিবাজার ও স্থানীয়ভাবে সাপ্তাহিক হাটগুলোতে সাধারণ মানুষ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছে না। মাস্ক ব্যবহার করতেও অনীহা দেখা গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপনকৃত হাত ও মুখ ধোয়ার বেসিনগুলো কেউ ব্যবহার করছে না। এছাড়া রেলস্টেশন, আদালত, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে জেলার বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা আদায় করলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ফলে করোনার প্রার্দুভাব ফের বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারের ক্রেতা শামসুল হক ও সদর উপজেলার বড়বাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, বাজারে প্রচুর লোক সমাগম হয়। ক্রেতা ও বিক্রেতা কেউ মাস্ক ব্যবহার এবং বাজারে স্থাপিত হাত ধোয়ার বেসিন ব্যবহার করছেন না। কালীগঞ্জ উপজেলার দিনমজুর পরিবারের অভিভাবক মমতাজুর রহমান জানান, তার পরিবারের ৪ জন লোককে নানা কাজে প্রতিনিয়ত বাড়ির বাইরে যেতে হয়। তাদের মাসে ২০টি মাস্ক দরকার হয়। দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির বাজারে অর্থ ব্যয় করে মাস্ক ক্রয় করাটা তাদের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এ জন্য তারা মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করেন। জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার নির্মলেন্দু রায় জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে না এসে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা করোনা আক্রান্তদের সর্বাত্মকভাবে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে উৎসাহ দিচ্ছি। জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা নিয়মিত হাত মুখ ধোঁয়ার ব্যবস্থা, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাসহ জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে মাইকিং, বিলবোর্ড স্থাপনসহ নানাবিধ প্রচার কার্যক্রম নিয়মিত চালানো হচ্ছে।