জাতিসংঘকে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানের তথ্য দিল বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমাসংক্রান্ত সংশোধিত তথ্য জাতিসংঘকে দিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মহীসোপান সীমাসংক্রান্ত সংশোধিত সব তথ্যাদি হস্তান্তর করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। শুক্রবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নিমানুযায়ী জাতিসংঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করবে এবং পরে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশমালা দেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপান সীমা সংশোধনী বিষয়ক সব দলিল \হতৈরি করে। এর আগে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রম্নয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান সীমাসংক্রান্ত মূল তথ্যাদি দাখিল করেছিল বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণবিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলায় যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দেওয়া ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশ জয়লাভ করে। দাখিলকৃত সংশোধনীটি যাতে 'জাতিসংঘের মহীসোপন সীমাবিষয়ক কমিশনের' পরবর্তী অধিবেশনে এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি। মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্র তলদেশের খনিজ সম্পদ উন্মোচন ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে উলেস্নখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।