হার্টে রিং প্রতিস্থাপনে সেরার স্বীকৃতি পেল ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হৃদরোগীদের চিকিৎসায় হার্টের রিং প্রতিস্থাপনে সেরার স্বীকৃতি হিসেবে 'ইউরোপীয়ান বাইফার্কেশন ক্লাব-২০২০' সম্মাননা পেয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। প্রতিবছর এই সংস্থা বিশ্বের সেরা তিনটি জটিল এনজিওপস্নাস্টিকে সম্মাননা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ইউরোপীয়ান বাইফার্কেশন ক্লাব বাংলাদেশের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিকের নেতৃত্বে সম্পন্ন হওয়া একটি জটিল এনজিওপস্নাস্টি (স্টেনটিং বা রিং বসানো) প্রসিডিউরকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রসিডিউরগুলোর মধ্যে সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংস্থাটির বিবেচনায় যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও জাপানে হওয়া প্রসিডিউরগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। হার্ট ফাউন্ডেশন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য বিরল গৌরবের। হৃদরোগের চিকিৎসা জগতে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন; এটি তার প্রমাণ। ইউরোপীয়ান বাইফার্কেশন ক্লাব একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগঠন। যারা জটিলতর করোনারী হৃদরোগের চিকিৎসা, গবেষণা, জটিল এনজিওপস্নাস্টি পদ্ধতির গাইডলাইন প্রস্তুত নিয়ে কাজ করে থাকে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ একটি অলাভজনক, সেবামূলক, সরকার কর্তৃক সাহায্যপুষ্ট ও অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃত জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক কিছুসংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য পেশার সমাজসেবীদের নিয়ে ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেন। মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই হাসপাতালটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম হৃদরোগের চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মার্চ ১৯৯৯ সাল থেকে আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত ১৭৭৯৬৪টি ক্যাথল্যাব প্রসিডিউর এবং ৩২ হাজার ৮৬৩টি কার্ডিয়াক অপারেশন হয়েছে।