শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মাস্ক আছে মাস্ক নেই

সরকারি-বেসরকারি অফিসে 'নো মাস্ক নো সার্ভিস'

করোনা সতর্কতায় কেউ মাস্ক পরেন, কেউ পরেন না। এটি হয়ে উঠেছে এখন ব্যক্তিগত অভিরুচির বিষয়। কেউ মাস্ক ব্যবহার করেন যত্নসহকারে, কারও আবার তোয়াক্কা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অথবা না মেনে এভাবেই এগিয়ে চলছে করোনাকালীন জীবন। ছবিটি রোববার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে 'নো মাস্ক নো সার্ভিস' নীতি নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ মাস্ক ছাড়া এখন থেকে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা মিলবে না। গতকাল ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভায় বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা নিজ নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে যোগ দেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ-২০২০' উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সব স্তরে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিসভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাট-বাজার, শপিংমল, স্কুল, সামাজিক বা ধর্মীয় সম্মেলনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সব বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবার যতগুলো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আছে সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছি 'নো মাস্ক নো সার্ভিস'। তিনি বলেন, এবার সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার দেওয়া থাকবে- 'মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সব মসজিদে অন্তত দুবার নামাজের পর মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আদেশ প্রচার করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও সেটার সঙ্গে একমত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দেওয়া হবে না। শুধু সরকারি নয়,

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। গণপরিবহণের বিষয়েও আমরা কথা বলবো। আমরা সড়ক, নৌপরিবহণ ও রেল সচিবের সঙ্গে কাল-পরশুই বসব। সেখানে একটা সিদ্ধান্ত নেব।'

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মন্ত্রিসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ-২০২০' উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী ৮ তারিখ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এটি গত ২২ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। কোভিড ১৯-এর কারণে তখন এটি স্থগিত হয়ে যায়। এটাকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটু মডিফাই করা হয়েছে, যা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর ভাষণটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ভাষণে প্রধানত বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক দর্শন এবং তার কর্মের দিক আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড ১৯-এর সময় সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং কীভাবে এই ভাইরাস মোকাবিলা করা হয়েছে সে বিষয়গুলোও উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়া গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর মেয়াদে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।

রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদ্মা সেতু নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মায় ৩৪ নম্বর স্প্যান বসে গেছে, পদ্মার আর যে সাতটি স্প্যান সবগুলোই অলমোস্ট রেডি। ৪১ নম্বর স্প্যানের নাটবল্টু লাগানো হচ্ছে। আশা করি আগামী দুই-আড়াই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানো শেষ না হলে হয়তো জানুয়ারি ও ফেব্রম্নয়ারির মাঝামাঝি হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<116576 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1