১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিকে শুরু হচ্ছে সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগামী ১ নভেম্বর রোববার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। এদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করে তা জমা দিতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা যেখানে রয়েছে সেই এলাকার নিকটতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করে জমা দেওয়া যাবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়বস্তু ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন শ্রেণি পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এ রকম নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখনফল অর্জন করল তা মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ মূল্যায়ন যেন তাদের ওপর কোনো মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি না করে। নির্দেশনাগুলো হলো- এনসিটিবির ৩০ কর্ম দিবসের সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে, অ্যাসাইনমেন্টের (নির্ধারিত কাজ)-এর জন্য বিষয়বস্তুু ও অ্যাসাইনমেন্ট (নির্ধারিত কাজ) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট প্রতি সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো হবে, অ্যাসাইনমেন্টের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ করার ব্যবস্থা আলাদাভাবে করবেন এবং তা গ্রহণ করবেন, অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়ন সংক্রান্ত অন্য কোনও কার্যক্রম (যেমন- পরীক্ষা গ্রহণ, বাড়ির কাজ ইত্যাদি) দেওয়া যাবে না। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিখনফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অভিভাবক/শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমন্বয় করবেন। এর আগে করোনার কারণে গত ২১ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করেন। ওই দিনই তিনি জানান, ৩০ কার্যদিবসের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে।