ছুটি বাড়ল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত

উৎসব হচ্ছে না, শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে নতুন বই

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হলেও বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিতে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বই তৈরি থাকবে। তবে যেভাবে বই উৎসব করি, যেখানে সব শিক্ষার্থী হাজির থাকে, এবার স্বাভাবিক কারণে, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে নিশ্চয় আমরা সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব না। বিকল্প চিন্তা করে কীভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছিল। এখন তা বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হলো। করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। কারিগরি-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন সম্ভব নয়। একই সঙ্গে, কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য জোর প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এটি চূড়ান্ত একটি পরীক্ষা। তাই তাদের (শিক্ষার্থী) যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হয়, (তাহলে) পরে চাকরি বা কর্মসংস্থানে তাদের সমস্যা হতে পারে। আর কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিশেষ মূল্যায়নের সুযোগ নেই। কারণ তাদের প্রায়োগিক বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। যেগুলোর হাতেকলমে নেওয়া জরুরি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'অনেকে অনুরোধ করছেন, এইচএসসির মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের পাস করানোর জন্য। আবার অনেকে অটো পাস চান না বলেও জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পাঁচটি পরীক্ষা দিয়েছেন, সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে তাদের রেজাল্ট দিয়ে দিতে। কিন্তু এটি চূড়ান্ত একটি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন হলে পরে চাকরি বা কর্মসংস্থানে সমস্যায় পড়তে পারেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।