কারণ জানতে মন্ত্রণালয়ের নোটিশ

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ধর্মীয় রীতি মেনে পোশাক পরার নির্দেশ!

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ড্রেসকোড নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। বিজ্ঞপ্তিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষদের টাখনুর ওপরে, নারীদের হিজাবসহ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিটি কোন বিধিবলে এবং কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়েছে তা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার স্পষ্টকরণ ও ব্যাখ্যা দিতে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পোশাক পরিধানবিষয়ক \হনির্দেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তির একটি কপি যায়যায়দিনের কাছে এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে 'অত্র ইনস্টিটিউটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, অফিস চলাকালীন মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাখনুর ওপরে এবং মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিজাবসহ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মেনে চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।' এদিকে এই নির্দেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত অনেকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্বাধীন দেশে তিনি (পরিচালক) এ রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কি না তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কী কারণে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একাধিকবার তার ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. হাসান ইমামের কাছে সরকারি চাকরি বিধিতে এমন নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে কিনা, অথবা সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, 'আমার জানা মতে এটা উনি দিতে পারেন না। সরকারি কোনো অফিসে এমন নিয়ম নেই। কোথাও হয়েছে বলেও তিনি শোনেননি। তবে কেন করেছেন সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন, হয়ত নিজের বিবেচনায় করেছেন, তবে কাজটা যথাযথ হয়নি।' ডা. হাসান ইমাম আরও বলেন, 'কিছুক্ষণ আগেই তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত নোটিশ দেখেননি। তবে শোনার সঙ্গে সঙ্গে ডিজি স্যারকে (মহাপরিচালক) জানানো হয়েছে। স্যার ঢাকার বাইরে থাকায় কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমারা তাকে (পরিচালক) ডেকেছি তিনি আসবেন বলেছেন। তখন উনার কাছে জানতে চাইব। ডিজি স্যারের নির্দেশনাও জানিয়ে দেয়া হবে, পাশাপাশি বিদ্যামান আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'